যিশু বলেছেন: “মেরি লোকজন, যখন আমি সুসমাচারে মানুষদের চিকিত্সা করেছিলাম, তখন আমি নিজেকে বিখ্যাত করার জন্য নয়, বরং আত্মার চিকিত্সায় মনোযোগ দিয়েছিলাম। এমনকি যখন আমি মানুষের মধ্যে শয়তানকে বহিষ্কার করেছিলাম, তখনও আমি শয়তানের কাছে বলেছিলাম যে তারা নিশ্চল থাকবে এবং না বলে যাবে যে আমিই আল্লাহর পবিত্র ব্যক্তিত্ব। আমি প্রকৃতপক্ষে একটি গোপন মেসিয়া ছিলাম। বেশ কয়েকটি ঘটনা হয়েছিল যখন আমার সঠিক পরিচয় প্রকাশিত হয়েছিল। আমার পরিণতির সময় কেবল তিনজন শিষ্য তা দেখতে পেয়েছে। নাজারেথের সিনাগগে আমি তাদেরকে বলেছিলাম যে, আমিই ইসাইয়ার লেখা মানুষদের চিকিত্সার সমাপ্তি। কিন্তু তারা মনে করতো আমাকে বিশপমূলক আচরণের জন্য হত্যা করা উচিত। আমার শিষ্যদের মধ্যে সেন্ট পিটারকে আমার পিতা জানিয়েছিলেন যে, আমিই পরিপূর্ণ ত্রিমূর্তির দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব। মহাপুরোহিতের সামনে আমিও স্বীকার করেছিলাম যে, আমি আল্লাহর ছেলে, কিন্তু তারা মনে করতো আমাকে বিশপমূলক আচরণের জন্য ক্রুসিফাই করা উচিত। এটি সবই ছিল আমার ক্রুসিফিকেশন পরিকল্পনার অংশ যাতে মানবজাতির পাপ থেকে সকলকে রক্ষা করতে পারি। অনেকেই আমার চিকিত্সায়, আমার অলৌকিক কাজে এবং আমার বাক্যের কর্তৃত্ব দেখেছিল, কিন্তু কেউই মেনে নিতে চাইনি যে, আমিই মেসিয়াহ, বিশেষত আমার নিজের ইহুদি লোকেরা আমাকে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেছিল। তবুও এই প্রত্যাখ্যানের বাবধানে আমার উত্থান সবার জন্য প্রমাণ ছিল যারা আমায় বিশ্বাস করতে চাইছে। আমার চার্চ গঠনের ইতিহাস এবং এর আজ পর্যন্ত বিদ্যমানের সাক্ষ্যপ্রমাণও হলো আমি জাহান্নামের দরজা থেকে রক্ষিত হইয়াছি। কেবলমাত্র যারা আমায় বিশ্বাস করে এবং মেনে নেয়, তারা স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবে, কারণ আমিই সর্বকালের জন্য সত্যিকারের মেসিয়াহ। আমার পবিত্র সম্মানীয় দেহে আমি তোমাদের সাথে সবসময় থাকছি।”